বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিআরইউ'র সভা ও দোয়া মোনাজাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: সোমবার ১২ই আগস্ট ২০২৪ ০৯:২৪ অপরাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিআরইউ'র সভা ও দোয়া মোনাজাত

পেশাদার সাংবাদিকরা কখনও কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর হয় না, তারা পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে সঠিক ও সত্য সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরেও এর ব্যত্যয় হয়নি। তবে ১৯৭১ সালের পর এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ সাংবাদিক হতাহতের ঘটনা সাম্প্রতিক আন্দোলনকে ঘিরে হয়েছে।  আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ সকল নিহতের ঘটনায় তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি নিহতদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।


সোমবার (১২ আগস্ট) বাদ জোহর বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) এর মিলনায়তনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ অন্যান্য সকল নিহতের ঘটনায় স্মরণ সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।



বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহার সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল বিশ্বাস।



 বক্তব্য রাখেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন, মোহাম্মদ আলী খান জসিম,সুশান্ত ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, কামরুল আহসান, যুগ্ম সম্পাদক মুশফিক সৌরভ ।


 বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুফল শুধু চাকুরি ক্ষেত্রে নয়, এর সুফল আমরা সর্বক্ষেত্রে চাই।  আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, যেখানে সকল শ্রেণি-পেশা ও ধর্মের মানুষ ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে বসবাস করবে। যা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করবে বলেও আমরা বিশ্বাস করি। আমরা চাই দেশের মানুষ ভাল থাকুক, শান্তিতে থাকুক। সেইসাথে দেশজুড়ে শান্তি বিরাজ করুক।


এসময় বক্তারা আরও বলেন, বরিশালের প্রেক্ষাপটে আমরা দেখেছি প্রতিটি গণমাধ্যম কর্মী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে প্রতিটি সংবাদ তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। আর সাংবাদিকরা সংবাদের মাধ্যমে যদি বিষয়বস্তু তুলে না ধরে তাহলে প্রকৃত বিষয় কখনও সাধারণ মানুষ জানতে পারে না। সেক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি অন্য আন্দোলনগুলোর মতো এবারের ছাত্র আন্দোলনের সফলতার পেছনেও সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে।  আর সংবাদের তথ্য সংগ্রহের কাজে গিয়ে দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভির বরিশাল ব্যুরো প্রধান আকতার ফারুক শাহিন এর মতো সিনিয়র সাংবাদিকরা হামলার শিকার হবেন এটা কখনও প্রত্যাশা করিনা। সেইসাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি সাইফুর রহমান মিরন, যুগান্তরের চিত্র সাংবাদিক শামীম আহমেদ. মাইটিভির বরিশাল প্রতিনিধি পারভেজ রাসেল, দীপ্ত টিভির চিত্র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, ডিবিসি ডিজিটালের সাব্বির খান ও তার ক্যামেরাপার্সন সিদ্দিক, আলামিন সাগরসহ অনেকে পুলিশ ও দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন।  এছাড়া অনেকেই পুলিশের টিয়ার সেলের গ্যাস, ইট-পাটকেলের আঘাতে প্রতিনিয়ত আহত হয়েছেন। যার প্রতিটি ঘটনার আমরা তদন্ত ও বিচার দাবি করি। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।


বক্তব্য শেষে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া- মোনাজাত করা হয়। এর আগে শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।


 স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক খবরের কাগজরে বরিশালের স্টাফ রিপোর্টার মঈনুল ইসলাম সবুজ, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক রাসেল হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক অলিউল ইসলাম, সদস্য তন্ময় তপু, জিয়াউল করিম  মিনার, এন আমিন রাসেল, আনিসুর রহমান আনিস, একরাম হোসেন প্রমুখ।