রাজশাহীর সন্তান এন্ড্রু কিশোর। নিজের জেলা শহরে গেলেই খুঁজে পেতেন অন্যরকম প্রশান্তি। আর এই প্রশান্তি নিতে মাঝে মধ্যে ব্যস্ততা ও ঢাকা শহরের কোলাহল ছেড়ে ভালো লাগার বাড়ি গিয়ে থাকতেন শিল্পী। কিন্তু ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি পেতে রাজশাহীর ফ্ল্যাটটিও বিক্রি করেছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এন্ড্রু কিশোরের পরিবারের এক ঘনিষ্ঠজন।
জানা যায়, চিকিৎসার জন্য কারো কাছে হাত পাততে চাননি এন্ড্রু কিশোর। নিজের জমানো টাকা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা শেষ হলে বাধ্য হয়ে ফ্ল্যাটটিও বিক্রি করতে হয়। ৩০ লাখ টাকার কিছু কম দামে বিক্রি করেছেন ফ্ল্যাটটি। অবশিষ্ট এখন ঢাকার মিরপুরের একটি ফ্ল্যাট।
ইতোপূর্বে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার জন্য পরিবার খরচ করেছে কোটি টাকার বেশি। শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। এতে সংগ্রহ হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু সিঙ্গাপুর হাসপাতাল থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচের কথা বলা হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত তিনটি সাইকেলে তার ১২টি কেমোথেরাপি সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেকটি কেমোর জন্য লাগছে ৯ লাখ টাকা। গত ২৬ নভেম্বর থেকে কেমোথেরাপির পরবর্তী সাইকেল শুরু হয়েছে। আরও তিনটি সাইকেলে ১২টি কেমোথেরাপি দিতে হবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার জন্য বিনোদন জগতের বেশ কিছু পরিচিত মুখ সহযোগিতা করেছেন, এগিয়ে আসে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ফরিদুর রেজা সাগর, সৈয়দ আব্দুল হাদী, হানিফ সংকেত, সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, জেমস, অনন্ত জলিল, বর্ষা, মমতাজ বেগম, মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাদল রায়, দিলারা আলো, কবির বকুল, দিনাত জাহান মুন্নি, চন্দন সিনহা, পলাশ সাজ্জাদ, দিঠি আনোয়ার, জলের গান, সাউন্ডটেক, অনুপম রেকর্ডিং মিডিয়া, ক্রিশ্চিয়ান হাউজিং সোসাইটিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পীর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।