আগুনমুখা, পায়রা ও লোহাদিয়া নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার নৈসর্গিক লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে কুয়াকাটা সৈকত দেশের অন্যতম নৈসর্গিক স্থান। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এবার সেখানেই ধারণ করা হয়েছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। বেশ কিছুদিন ধরে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, পর্যটনশিল্প সমৃদ্ধ ও প্রাচীন নিদর্শন সমৃদ্ধ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইত্যাদির নিয়মিত পর্বগুলো ধারণ করা হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের যখন যে স্থানে ইত্যাদি ধারণ করা হয় সেই স্থানটির বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করেই সেট নির্মাণ করা হয়। এর ফলে দর্শক যেমন ওই স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেন, তেমনি নিত্য-নতুন লোকেশনের কারণে প্রতিবারই সেট নির্মাণেও আসে বৈচিত্র্য। এবার পেছনে সমুদ্র রেখে দু’পাশে অর্ধশতাধিক মাছ ধরার নৌকা রেখে বানানো হয়েছে সেট। কুয়াকাটার ঐতিহ্যের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নির্মাণ করা আলোকিত মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। দিনে-রাতে অনুষ্ঠান ধারণের যে প্রচলন ইত্যাদি শুরু করেছিল তার ধারাবাহিকতা দেখা যাবে এবারের পর্বেও। সব সময় রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও কুয়াকাটার এ প্রাকৃতিক রূপ, সাগরের ফেনিল জলের ঢেউ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে সুন্দরবন, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারের মতো এখানেও গোধূলি লগ্নে ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়।
আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অসংখ্য মানুষ আশপাশের গাছ ও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ইত্যাদি উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদির এ পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ২৯ মার্চ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। বরাবরের মতো এবারও অনুষ্ঠানটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।