ভালবাসার সত্যিকারে নিদর্শনতো এরাই!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২০ অপরাহ্ন
ভালবাসার সত্যিকারে নিদর্শনতো এরাই!

১৪ ই ফেব্রুয়ারী, বিশ্ব ভালবাসা দিবস। আধুনিক সময়ে ভালবাসা (অন্তরের উপলব্ধি) অনেকটা করপোরেট বানিজ্যে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে  নব্বই দশকে আমাদের দেশে ভালবাসা দিবসের আবিষ্কার। পৃথিবী শুরুর আগে থেকেই ভালবাসার সৃষ্টি হয়েছে। মহান শ্রষ্ঠা ভালবেসেই সর্বপ্রথম মানব মানবী আদম হাওয়া কে সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাদের অন্তরে ভালবাসার অনুভূতি প্রদান করেছিলেন। ভালবাসা উঁচু নিচু জাত ভেদ মানেনা।  রহিমা খালা (ছদ্ম নাম)  সেদিন পুরো ঘর ফটাফট পরিষ্কার করছেন। দেখে মনে হচ্ছে বেশ তারা আজ তার। জিজ্ঞেস করতেই  ইনিয়ে বিনিয়ে বললো  - খালামনি, আজ আমার একটু ছুটি লাগবো…আমি বল্লাম ক্যান, তোমারও কি ভ্যালেন্টাইন ডে আছে নাকি? কি উত্তর দিবে রহিমা ? যে মানুষের খাওয়া জুটে না, তাঁর আবার ভ্যালেন্টাইন ? ওর স্বামীর আবার এক পা নেই। রোড এক্সিডেন্টে এক পা কাটা গেছে। তাই পঙ্গু মানুষের জন্য ভালোবাসা? বিশ্ব যতোই তাঁর প্রেমকে উপহাস করুক না কেন, এখনো তাঁর মনের কঠিন আবরণের নীচে  ভালোবাসার মিষ্টি অনুভূতিগুলো কাজ করে।

রহিমার স্বামী এক পায়ে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এই লোকটা ট্রাক এক্সিডেন্টে পা হারানোর পর সিদ্ধান্ত নিল , আমি এক পায়ে রিক্সা টানবো, “ভিক্ষা করবো না মানুষের করুণায় বাঁচবো না। আর রহিমা এই লোকটার  প্রতি অনুভূতি অস্বীকার করে কিভাবে? আমি জানি এসব। আর ওকে বল্লাম যা আজ তারা তারই যা, নিজেদের মতো করে ঘুরে  বেড়াবি আর আমাদের জন্য ছবি তুলে আনবি।  তবে কিছু খন পরে মনে হলো আরে প্রেম ভালবাসা তো এখন কর্পোরেট আর বড় লোকদের জন্য হয়ে গেছে।আর কাজের বুয়া খালাদের প্রেম থাকতে নেই, থাকলেও প্রকাশ করতে নেই। কারণ এই সমাজের ভালোবাসার টেন্ডার পেয়েছে ধনী মানুষেরা। আমরা সে টেন্ডারবাজি ভাঙ্গতে নেমেছি। তাই গত ১৪-ফেব্রুয়ারিতে তেমনি কিছু দরিদ্র যুগলকে উপহার দেয়া হয়েছে সেরা কিছু মুহূর্ত। তাঁদের ভালবাসার ফ্রেমে বন্দি করেছেন ইনিউজ৭১ এর ক্যামেরা পারসন। আর এই ভালবাসা চিরকাল বেচে থাকুক এই  পৃথিবীতে।