ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজিন (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী। রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ঝালকাঠি সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। রাজিন ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং ঝালকাঠির বিকনা গাজীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে কলেজে যাওয়ার পথে রাজিন তার আইডি কার্ড বাসায় ফেলে আসার কথা মনে পড়লে দ্রুত ফিরে গিয়ে তা নিয়ে পুনরায় রওনা দেন। ঝালকাঠি সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে ইট পরিবহনের একটি ট্রলি তার বাইককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রাজিন গুরুতর আহত হন এবং তার সঙ্গে থাকা মাহিম নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র ডান পায়ে আঘাত পান।
দুর্ঘটনার পর রাজিনকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল এবং পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ঢাকায় রওনা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুপুর সাড়ে তিনটায় রাজিন মারা যান।
নিহতের বাবা শাহ আলম খলিফা জানান, ছেলের মৃত্যুতে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে। রাজিনের মরদেহ বিকেলে ঝালকাঠির বিকনা গাজীবাড়ীতে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার সহপাঠী, বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজন তাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন।
রাজিনের সহপাঠী শাহরিয়ার সিমান্ত বলেন, রাজিন বরাবরের মতোই উদ্যমী ও প্রাণবন্ত ছিল। দুর্ঘটনার দিন কলেজে যাওয়ার সময় সে মাহিম নামের বন্ধুকে তার বাইকে তুলেছিল। এ ঘটনায় আহত মাহিম বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকাল দশটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক ট্রলি গাড়িটি পালিয়ে গেছে এবং সেটি আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।
রাজিনের অকাল মৃত্যুতে এলাকাবাসী এবং সহপাঠীদের মধ্যে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।