সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে, আর এর সঙ্গে সঙ্গে এই আইনের অধীনে চলমান সব মামলা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার ঢাকা ক্লাবে ‘ডিআরইউ-দেশ টিভি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গেই এই আইনের অধীনে করা সব মামলা রহিত করা হবে, তবে কিছু নির্দিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বজায় থাকবে। যেমন কম্পিউটার অপরাধ, হ্যাকিং এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলিংসহ বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তিগত অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলো বাতিল হবে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমরা সব সময় সাংবাদিকবান্ধব থাকার চেষ্টা করেছি এবং আমাদের সরকার কখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সব মামলাই সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "সরকারের পক্ষ থেকে কখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনা ঘটেনি।"
এছাড়াও, তিনি সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, "সাংবাদিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা, কিন্তু এর বাইরে যদি কেউ বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন, তাহলে তাকে কি সাংবাদিক বলা যাবে?"
ড. আসিফ নজরুল ডিআরইউ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমরা চাই ডিআরইউতে বিভক্তি না ঘটুক, কারণ এই সরকারের পেছনে সমাজের সব পেশার মানুষের অবদান আছে, সাংবাদিকদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।"
অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের সাংবাদিকতার প্রতি পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের ঘোষণার পর এটি দেশের সাংবাদিকদের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে কীভাবে এই আইন বাতিল করা হবে এবং এর প্রভাব কিভাবে প্রতিফলিত হবে, তা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।