জামায়াতের আমির: ক্ষমতায় গেলে ধর্মীয় কিছু চাপিয়ে দেয়া হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: শুক্রবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:২২ অপরাহ্ন
জামায়াতের আমির: ক্ষমতায় গেলে ধর্মীয় কিছু চাপিয়ে দেয়া হবে না

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির, ড. শফিকুর রহমান, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন যে, তাদের সরকার ক্ষমতায় গেলে ধর্মীয় কোনো কিছু জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে না। তিনি দাবি করেছেন, দলটির উদ্দেশ্য হবে দেশের উন্নয়ন এবং মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা, ধর্মের নামে কোনো ধরনের জোরাজুরি নয়।


তিনি বলেন, "আমরা একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করবো, যেখানে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে।" জামায়াতের আমির এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল থাকবে। 


ড. শফিকুর রহমান জানান, জামায়াতের লক্ষ্য হবে দেশের সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, "আমরা চাই মানুষের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি হোক। ধর্মীয় বিষয়ে আমরা মানুষের স্বাধীনতাকে বাধা দেব না।"


সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জামায়াতের মূলনীতি হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা। "আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ, যেখানে সবাই নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারবে," বলেন তিনি। 


এই ঘোষণার ফলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় ওঠেছে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, জামায়াতের এই বক্তব্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে এবং দলের ভাবমূর্তি উন্নত করার একটি প্রচেষ্টা।


এছাড়াও, তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, "বর্তমান সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। তাদের প্রতি জনগণের আস্থা কমে গেছে।" তিনি বলেন, জামায়াত জনগণের স্বার্থে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়।


জামায়াতের আমিরের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ধর্মীয় ইস্যুকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার এই প্রতিশ্রুতি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। 


এখন দেখার বিষয়, জামায়াতের এই প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর হয় এবং দেশের জনগণের মধ্যে কিভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়।