শ্লীলতাহানির অভিযোগ: জোরপূর্রক মীমাংসাপত্রে ছাত্রীর সই নিলেন এসআই!

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
শ্লীলতাহানির অভিযোগ: জোরপূর্রক মীমাংসাপত্রে ছাত্রীর সই নিলেন এসআই!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা ছাত্রীর কাছ থেকে জোর করে মীমাংসার আবেদনে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এস আই খোকন চন্দ্র ভৌমিক। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চককীর্ত্তি ইউনিয়নের চকনাধড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, বাড়িতে এসে অসুস্থ মেয়েকে ঘাড় ধরে বিছানা থেকে তুলে জোর করে আবেদনপত্রে সই করিয়ে নিয়েছেন খোকন। তবে এ বিষয়ে এস আই খোকন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা কিছু বলার নাই।


ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, চককীর্তি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট বাইজিদ আলী একই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির এক হিন্দু ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে ধারাবাহিকতায় কৌশলে কয়েক স্থানে নিয়ে গিয়ে তার শ্লীলতাহানী করে ও গোপনে ভিডিও করে রাখে। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর বিয়ের দিন ঠিক হলে সে খবর পায় বাইজিদ আলী। গত ১৬ মার্চ সে বরপক্ষের বাড়ি গিয়ে সেই ভিডিও দেখিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। সেইসঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকিও দেয়।


এ ঘটনায় ১৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে ওই ছাত্রী নিজেই। পরবর্তীতে ২৩ মার্চ তার বাবা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে টাকার বিনিময়ে তাকে অভিযোগ তুলে নিতে এবং আর কোথাও কোনো অভিযোগ না করতে বাধ্য করে। সে কারণেই গতকাল রাতে জোর করে ভুক্তভোগীর সই নেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।


শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন এ বিষয়ে গতকাল দুপুরে বলেছিলেন, আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ বা এজাহার না আসায় আমাদের কিছু করার নেই। একইদিন রাতে আবার তিনি বলেন, তারা একটি অভিযোগ দিয়েছিল, কিন্তু পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য আবেদন করেছেন। তদন্তকারী অফিসার যে কোন সময় ভুক্তভোগীর কাছে যেতে পারেন। আবার বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ভুক্তভোগী যেকোনো সময় এজাহার দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। আমরা সব সময় অসহায় ও ভুক্তভোগীদের পাশে আছি।