ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা বরিশালের মানুষ, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম. কে. রানা - বার্তা প্রধান ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: সোমবার ১৭ই মে ২০২১ ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা বরিশালের মানুষ, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

বৈশ্বিক মহামারী করোনা দেশে আঘাত হানার পর গত বছর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি মানুষ। একটি বছর কেটে গেলেও করোনার সংক্রমন কমেনি। তবে এবারকার ঈদে ঘরবন্দী মানুষ করোনা সংক্রমনে ভীতি উপেক্ষা করেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। ফলে বরিশালের বিনোদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে উন্মুক্ত স্থানে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। 



স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা বেশিরভাগ মানুষকেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করেই তারা আনন্দ উদযাপন করছে। ঈদ আনন্দে ভেস্তে গেছে সকল প্রকার বিধিনিষেধ। যদিও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে জনসমাগম এড়াতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিল বরিশাল জেলা প্রশাসন। এতে করে করোনা পরিস্থিতির আশংকা করছেন বরিশালের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।



প্রতি বছর ঈদের দিন থেকে শুরু করে টানা তিনদিন নগরীর বিভিন্ন পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামে। গত বছর করোকালীন ঈদে প্রশাসনের কঠোরতার কারনে প্রতিটি বিনোদন স্থান ছিল নিয়ন্ত্রতি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারনে এবারের ঈদেও পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্রে জনসমাগম একেবারে নিষিদ্ধ করে গনবিজ্ঞপ্তি জারী করে জেলা প্রশাসন। 



তবে গত বছরের তুলনায় এবারকার ঈদে প্রশাসনের শিথিলতার সুযোগে ঈদের দিন বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন কীর্তনখোলা নদীর তীরে এবং দপদপিয়া সেতু, গুঠিয়া মসজিদ সহ প্রতিটি উন্মুক্ত স্থান ও বিনোদন কেন্দ্রে হাজারো লোকের সমাগম হয়। 


ঈদের প্রথম দিন প্রশাসনের কড়াকড়ি না থাকায় শনিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেলেও নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন কীর্তনখোলা নদীর তীরে, গুঠিয়া মসজিদ, দোয়ারিকা শিকারপুর ব্রীজ এবং দপদপিয়া সেতুসহ প্রতিটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ভীর বেড়েছে দ্বিগুন। 



সরেজমিনে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব নিয়ে তেমন ভাবনা নেই ভ্রমনপিপাসুদের। অনেকেই ব্যবহার করেননি মাস্ক। করোনায় সরকারি নিষেধজ্ঞা উপেক্ষা করে করে বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার নানা যুক্তি দিয়েছেন তারা। 



যদিও করোনাকালে সরকারি নির্দেশনার কারনে সকল পার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। বরিশালের উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভীর হলেও সরকারী-বেসরকারী নিয়ন্ত্রিত পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে।  



যদিও করোনাকালে সরকারি নির্দেশনার কারনে সকল পার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। বরিশালের উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভীর হলেও সরকারি-বেসরকারি নিয়ন্ত্রিত পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। 



তবে নগরীর প্লানেট পার্কেল চিত্র তেমনটি প্রমাণ করেনি। কেননা এ পার্কে ঈদের গত দুদিনে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভ্রমন করেছে। যেখানে ছিলো না কোন স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব।



বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ নিলেও সাধারণ মানুষ তাতে কর্ণপাত করছেনা। ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে জনসমাগম বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষ যদি নিজে থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানে, তারা যদি সচেতন না হয় তাহলে করোনা সংক্রমন বাড়তে পারে। 



এজন্য তিনি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।