রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মৌন মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে মৌন মিছিল বের করা হয়। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুকুল মে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন তারা। এতে অংশ নেন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ শতাধিক শিক্ষার্থী। সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রায় ঘোষণার প্রায় ১০ মাস হলেও কার্যকরের কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছিনা। রায় কার্যকরে দীর্ঘসূত্রিতায় অনেকটা হতাশ। তাই আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভী বলেন, প্রায় দীর্ঘ তিন বছরের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও রায় কার্যকরের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা আদালত। উচ্চ আদালতে আপিল করার পর অপরাধীদের শাস্তি যেন কমে না যায় তাই ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি। এসময় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, মো জহুরুল ইসলাম, রেজাউল করিম সিদ্দিকীর ছেলে রিয়াসত ইমতিয়াজ সৌরভ প্রমুখ।
রায় কার্যকরের বিষয়ে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, রায় ঘোষণার পর সাত দিনের মধ্যে রায়ের কপি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আরেকটি রায় আসবে তারপরে বাস্তবায়নের দিকে যাবে আদালত বলে জানান তিনি। এর আগে গত বছর ৮ মে এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় জেএমবির দুই সদস্যের মৃত্যুদন্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। এ রায় ঘোষণা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার। ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে খুন হন অধ্যাপক রেজাউল করিম। এ ঘটনায় তার ছেলে রিয়াসত ইমতিয়াজ বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে ৬ নভেম্বর জেএমবির আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।