ববি'র সাবেক রেজিষ্টার মনিরুল স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম. কে. রানা - বার্তা প্রধান ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: বুধবার ১০ই এপ্রিল ২০১৯ ০৯:০০ অপরাহ্ন
ববি'র সাবেক রেজিষ্টার মনিরুল স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাবেক রেজিষ্ট্রার মনিরুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক। তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাবেক রেজিষ্ট্রার মনিরুল ইসলামকে এরআগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার কলাবাগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজো অফিসে সিন্ডিকেটের সভার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গে‌ছে, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশী এক তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত্র একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও প্রমাণসহ রেজিস্ট্রার মনিরুলের বিচারের দাবিতে ভিসির কাছে লিখিত আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিসি সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভা রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে নৈতিক স্খলনের দায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন। পরবর্তী‌তে তা‌কে সাম‌য়িক বরখাস্ত করা হয় এবং নতুন রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. হাসিনুর রহমানকে। চাকুরি হারিয়ে ভিসিকে সড়াতে ছাত্র আন্দোলনে সাবেক রেজিষ্টার মনিরুলের বিরুদ্ধে ইন্দনের অভিযোগ উঠে। সবশেষ মঙ্গলবার মরিুল ইসলামকে চাকুরী থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। 

এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, এটা আমাদের কারো হাতে নেই। শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে পদত্যাগ অথবা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছুটিতে যাওয়ার মতো কোন কারন নেই। আর উপাচার্যকে কেউ ছুটিতে পাঠাতে পারেন না। ছুটি নিতে হলে আমি নিজে ছুটি চাইবো, আর সেটা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ছুটি আসবে। আর একটি হতে পারে রাষ্ট্রপতি আমাকে ডেকে বলবেন, তুমি ছুটি নেও বা ছুটিতে যাও। এছাড়া কারো কিছু করার এখতিয়ার নেই। 

মেয়াদকাল বাড়বে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে উপাচার্য বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না, এটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। আর মেয়াদকাল পর্যন্ত না থাকার কোন সুযোগও নেই।  কারোর হুমকিতে যদি আমাকে রিজাইন করতে হয়, তাহলে বিষয়টি কি দাড়ায়। আর আমি এমন কিছু করিনি যে আমাকে হুমকির মুখে রিজাইন করতে হবে। ২৬ মার্চ আমার বক্তব্যকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আর তারপরও যা বলেছি তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব