প্রাথমিকের শিক্ষক হতে নারীদেরও লাগবে স্নাতক ডিগ্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৯ই এপ্রিল ২০১৯ ০৯:০৩ অপরাহ্ন
প্রাথমিকের শিক্ষক হতে নারীদেরও লাগবে স্নাতক ডিগ্রি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নারীদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ানো হয়েছে। এতদিন এইচএসসি পাসের সনদে নারীরা প্রাথমিকের শিক্ষক হতে পারলেও এখন থেকে নূন্যনত স্নাতক পাস হতে হবে। আগের বিধিমালা সংশোধন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন। নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। আগে এ নিয়ম শুধু পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য ছিল। এখন থেকে তা নারীদের জন্যও কার্যকর হবে।

আগে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ বছর এবং সহকারী শিক্ষক পদের জন্য ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যেত। এখন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর। বিধিামালায় বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। এছাড়া নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে বিজ্ঞান ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দিয়ে ওই ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে তা পূরণ করা যাবে বলেও বিধিমালায় বলা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। তবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে তা পূরণ করা যাবে। সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির বিবেচনায় আসবেন। আর সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, কেউকে কোনো পদে এডহক ভিত্তিতে আগেই নিয়োগ দেওয়া হলে এবং ওই পদে তিনি অব্যাহতভাবে নিযুক্ত থাকলে তার জন্য প্রযোজ্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা শিথিল করা যাবে। বাংলাদেশের নাগরিক না হলে এবং বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন ব্যক্তিকে বিয়ে করলে বা বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। এছাড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও চূড়ান্ত নিয়োগের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং যথাযথ এজেন্সির তদন্তে চাকুরিতে নিযুক্তির অনুপযুক্ত নন এমন প্রত্যয়ন পেতে হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব