গভীর শ্রদ্ধায় গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ করে গণহত্যা দিবস পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। গতকাল সোমবার দিবসটি উপলক্ষে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। একাত্তরের ২৫ মার্চের কাল রাতের গণহত্যা স্মরণে এদিন বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও হল মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়। এদিন বিকেল সাড়ে চারটায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনভবন কনফারেন্স রুমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনে উপাচার্য প্রফেসর এম আবদুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, ছাত্র-উপদেষ্টা, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ও প্রক্টরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন।
এসময় উপাচার্য এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে যাঁরা শহীদ হন সেই সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনে এক অন্যতম পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য সরকারের প্রয়াসের প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সহমত পোষণ করে এই উদ্যোগের প্রতি সকলের সমর্থন কামনা করেন। দিবসের কর্মসূচিতে রাত ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে ১ মিনিট ব্লাকআউট করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।