ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতাকে পদবঞ্চিতদের মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩০ অপরাহ্ন
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতাকে পদবঞ্চিতদের মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। রোববার সন্ধ্যার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী বলে জানা গেছে। মারধরের শিকার ওই ছাত্রের নাম শামীম আহম্মেদ। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ফলিত রসায়ন অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে মারধরের এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

হামলাকারীরা হলেন- মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তানজিম, ভূগোল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আরিফ, গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শাকিল ও প্রিন্স, ভূগোল বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শুভ্র, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সুফি, পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির নাঈম, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র প্রবাল। তারা সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী বলে জানা গেছে।এর আগে রোববার বিকালে অভিযুক্তরা ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগ মনোনীত হলের ভিপি প্রার্থী শাহরিয়ার সিদ্দিকী সিসিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ সময় তারা ‘মানি না মানব না, এই ভিপি মানব না’ বলে স্লোগান দেন। একই সময় সিসিমের রুমের সামনে অবস্থান করেন তারা। হামলার শিকার শামীম আহম্মেদ রাতে সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দুপুরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল ঘোষণার পরে হলে মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় আমি হলের নিচে অবস্থান করলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিকী সিসিম আমাকে ডেকে তার রুমে নিয়ে যান। পরে সিসিমের সঙ্গে কথা বলে রুম থেকে বের হলেই ছাত্রলীগের অন্য পক্ষের কর্মীরা আমাকে লাঠি নিয়ে মারতে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, সিসিমের সঙ্গে দেখা করা এবং তার পক্ষে ভোট চাইব— এ কারণে অন্য পক্ষের কর্মীরা আমাকে মারধর করেছেন। এ ঘটনাটি হলের আবাসিক শিক্ষকদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আবাসিক শিক্ষকরা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর