নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার শোডাউন নিয়ে সমালোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:০৭ অপরাহ্ন
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার শোডাউন নিয়ে সমালোচনা

নোয়াখালীর কবিরহাট থেকে জেলা শহর মাইজদী পর্যন্ত বিএনপি সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নামে স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন হয়েছে। দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যক্তি স্লোগানে শোডাউনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তৃণমূল নেতাকর্মীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।  


বুধবার দুপুরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন ও দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সমাবেশের আগে এই শোডাউন হয়। এতে শহরের রাস্তায় যানজট তৈরি হয় এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।  


একাধিক যুবদল নেতা জানান, বিএনপি নেতা আবেদকে গত বছরের আগস্টে নোয়াখালী-৫ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে তার অনুসারীরা একাধিকবার শোডাউনের আয়োজন করেন। বুধবারের সমাবেশের আগে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তার অনুসারীরা শোডাউন করেন এবং অধিকাংশ সময় তার নামেই স্লোগান দেন।  


এর আগেও গত ৯ অক্টোবরসহ তিন দফায় কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে তার অনুসারীরা মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। দলীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করায় নোয়াখালীর কয়েকজন নেতাকে শোকজ ও বহিষ্কার করা হলেও এই প্রবণতা বন্ধ হয়নি।  


বিএনপির হাইকমান্ড থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না। ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় শোডাউন ও বিলবোর্ড নিষিদ্ধ করা হয়।  


স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও একজন কেন্দ্রীয় নেতা কীভাবে এ ধরনের কাজ করেন? এই শোডাউনের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  


অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  


বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম জানান, মোটরসাইকেল শোডাউন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে। গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন, তবে এ বিষয়ে কেউ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।