বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি নবদম্পতির সুখী দাম্পত্য জীবনের কামনা করেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মাহফুজ আলমসহ আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন। ছবিতে সারজিস আলমকে দেখা যায় সাদা শেরওয়ানি ও পাগড়ি পরা বর বেশে। তবে তার স্ত্রীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সব সময় পর্দা মেনে চলেন এবং তার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক।
সারজিস আলমের শ্বশুর ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বাসাবো এলাকার শাহজাহানপুরে বসবাস করছেন। পারিবারিকভাবে গাজীপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বর্তমানে নবদম্পতি সেখানে অবস্থান করছেন।
সারজিস আলমের স্ত্রী এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বড়। তিনি একজন কোরআনের হাফেজা। তার পরিবার চাইছে, মিডিয়ার নজর এড়িয়ে ব্যক্তিগত পরিসর বজায় রাখতে।
১৯৯৮ সালের ২ জুলাই পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে জন্ম নেওয়া সারজিস আলম ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনে বরাবরই সরব থাকা সারজিস বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও ছিলেন অন্যতম মুখ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মঞ্চে বিতার্কিক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। গত বছরের জুলাই মাসের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর সারজিস আলম ও তার পরিবার আপাতত মিডিয়ার সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে চান না বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে তার এই নতুন জীবন শুরুর খবরে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তার অনুসারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।