ঝিনাইদহের সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামে দাফনের ৬১ দিন পর কিশোর সোহান (১৪)-এর লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ নগরবাথান গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে সোহানের লাশ উদ্ধার করে।
সোহান ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তবে তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং সোহানকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এর পরেই তার বাবা শহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাকিব নামে একজনের নাম উঠে আসে, যিনি নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঝিনাইদহ ডিবির এসআই শরীফ জানান, সোহানের ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে এবং আদালতের অনুমতি নিয়ে এটি ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে। তদন্তের পরই সোহানের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ঘটনার দিন, সোহান তার বাবাকে ফোন করে জানায় যে, সে কিছু সমস্যায় পড়েছে। এরপর সোহানের বাবা সাকিবকে ফোন করলে সে গালিগালাজ করে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এর কিছুক্ষণ পর সোহানের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছায় এবং তার বাবা হাসপাতালে গিয়ে সাকিবের দুই ফুফু, ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুনকে সেখানে দেখতে পান। সোহানের পিতা অভিযোগ করেন, হাসপাতালেই সাকিবের বাবা তাকে ফোন করে কোনও ঝামেলা না করার হুমকি দেন।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সাকিবের ফুফু ও আরজিনা ঢাকায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করার ব্যবসা চালান এবং তাদের দ্বারা কিছু অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। সোহানের পরিবার এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ অনুযায়ী, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে সাকিব ও তার সহযোগীরা সোহানকে হত্যা করেছে।
এই মামলার পরবর্তী তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী, সোহানের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।