নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আগামীতে ক্ষমতায় যেতে ইচ্ছুক অনেকেই নির্বাচনের জন্য চাঁদাবাজি করছেন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় সংলাপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘একটি বড় রাজনৈতিক দল মাঝে মাঝে তাদের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার করছে। তবে নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, তারা গত ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন না এবং নির্বাচনে অংশ নিতে অর্থের প্রয়োজন।’’
সাখাওয়াত হোসেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘‘কিছুটা সংস্কার না করেই যদি আমরা নির্বাচনে যাই, তবে তা ছাত্র-জনতার সঙ্গে অন্যায় করা হবে। ২০০৭ সালের সংস্কার উদ্যোগগুলো কার্যকর করা হয়নি, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে। এখন যদি সংস্কার না করা হয়, তবে ভবিষ্যতে তা আর কখনো সম্ভব হবে না।’’
তিনি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন পড়বে না। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আইন প্রণয়ন করা জরুরি।’’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। একজন প্রার্থীকে দলের ন্যূনতম সদস্য হতে হবে এবং অন্তত তিন বছর দলের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং নির্বাচন আইনেও বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।’’
তিনি তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘‘তরুণরা রাজনীতিতে নতুন ধারার সূচনা করতে পারে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তরুণদের রাজনীতিতে আগ্রহী করা।’’
দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় এক্সটার্নাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়েও তিনি মতামত দেন। তিনি বলেন, ‘‘নতুন সরকারকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এটি সহজ হবে না, তবে আমরা স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চাই।’’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।