প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ১:৩৪
মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ক্লিন ইমেজের দুর্জয়ের ওপর ভরসা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ পেতেই বদলে যায় তার চরিত্র। জমি দখল, রাতারাতি পাওয়ার প্ল্যান্টের মালিক বনে যাওয়া, এলাকায় মাদক ব্যবসার মদদ দেওয়া থেকে শুরু করে অর্থপাচার করে মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমও বানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ আছে, অবৈধভাবে অর্জিত এই সম্পদ বিদেশে পাচার করে এ দম্পতি মালয়েশিয়ায় গড়েছেন ‘সেকেন্ড হোম’। এমনকি যুব মহিলা লীগের বিতর্কিত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গেও ‘হট কানেকশন’ ছিলো দুর্জয়ের। পাপিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তার কাছ সুবিধাভোগীদের যে তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, সেখানে উঠে আসে দুর্জয়ের নাম।
সম্পদের বিষয়ে ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেখবে’ বলে জানান সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়। অন্যদিকে তার নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অন্যায় কাজ করে তাহলে তাদের নাম পরিচয় জানতে চেয়েছেন তিনি। অভিযোগ পেলে নিজেই ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার দাবি করেন।
দুর্জয় বলেন, আয়ের উৎস তো এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) দেখবে। এনবিআর দেখুক আয়ের উৎস, আয়ের টাকা কই গেল? আর মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের সূত্র সম্পর্কে জানতে চান। এত সম্পদ আর দুর্নীতির অভিযোগ যার নামে সেই নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই দুর্নীতি দমন কমিশনে। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর দুদক অনেক রাঘল-বোয়ালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ক্যাসিনোকাণ্ডে দুদকের ভূমিকা সব মহলে প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু দুর্জয়ের বিষয়ে অজানা কারণে নিশ্চুপ হয়ে আছে দেশের দুর্নীতি দমনের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।