মণিপুরে সশস্ত্র হামলার তদন্ত: ড্রোন ও রকেট পেল কোথায় ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: সোমবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
মণিপুরে সশস্ত্র হামলার তদন্ত: ড্রোন ও রকেট পেল কোথায় ?

ভারতের মণিপুর রাজ্যে গত সপ্তাহে ড্রোন ও রকেট ব্যবহার করে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে স্থানীয় কুকি বিদ্রোহীরা, যা স্থানীয় প্রশাসনকে বিস্মিত করেছে। হামলায় ব্যবহৃত অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখে প্রশাসন অবাক হয়ে গেছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে, যাতে জানা যায় কীভাবে এসব অস্ত্র কুকি বিদ্রোহীদের হাতে পৌঁছেছে এবং হামলার স্থানগুলোর সন্ধান বের করা সম্ভব হয়।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মিয়ানমার সীমান্তের কাছের কয়েকটি অঞ্চল খুঁজে পেয়েছে যেখানে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি থাকতে পারে এবং অস্ত্র উৎপাদনের কারখানা থাকতে পারে। এই ফ্যাক্টরিগুলোতে অস্ত্র তৈরি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


মণিপুর সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিউজ-১৮-কে জানিয়েছেন, "প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলির মধ্যে অ্যামোনিয়াম ও গেলিগ্নিটের মতো বিস্ফোরক পদার্থ রয়েছে। তবে উচ্চমাত্রার কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি এখন পর্যন্ত মেলেনি। এখনও তদন্ত চলছে, তাই উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।"


গত সপ্তাহে মণিপুর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কুকি বিদ্রোহীরা ড্রোন এবং রকেট ব্যবহার করে হামলা চালায়। স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এ ঘটনায় চমকে যায়, কারণ এই ধরনের প্রযুক্তি এবং অস্ত্র তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। 


প্রাথমিকভাবে, তদন্তকারীরা মনে করছেন যে বিদ্রোহীরা মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অস্ত্র সরবরাহের উৎস থেকে এই অস্ত্রগুলি পেয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তের বেশ কিছু অঞ্চল এখন বিদ্রোহী কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এবং সেখানকার অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলোর কারণে বিদ্রোহীদের সুরক্ষা ও অস্ত্রের যোগান মজবুত হচ্ছে।


এদিকে, মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চলছে। প্রশাসন অস্ত্রের উৎস ও হামলার স্থানগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।


মণিপুরের সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে হামলার পেছনে থাকা সংগঠিত নেটওয়ার্ক এবং তাদের অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে, যা ভবিষ্যতে এমন হামলা প্রতিরোধে সহায়ক হবে। 


প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার চলমান তদন্তের প্রতি জনগণের আগ্রহ ও উদ্বেগ রয়েছে, কারণ এ ধরনের হামলা রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।