ছিনতাইয়ের বাধা দেয়ায় নারীর পেটে ছুরি, গ্রেপ্তার যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বুধবার ৩রা এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২২ অপরাহ্ন
ছিনতাইয়ের বাধা দেয়ায় নারীর পেটে ছুরি, গ্রেপ্তার যুবক

অলংকার ছিনিয়ে নিতে বাধা দেয়ায় নারীর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়ার ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার কৃত তানজিল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ আলী (২১) বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ সদরের আম্বিকাপুর এলাকার বাসিন্দা বাদল পালোয়ানের ছেলে।


মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক।


 তিনি জানান, হামলার ওই ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে হামলায় আহত আম্বিকাপুর এলাকার বাসিন্দা খালেক নায়েবের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৫৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


তার স্বজনরা জানান, গত ৩০ মার্চ রাত ৯ টার দিকে ঘটনার সময় বাড়ির সবাই তারাবির নামাজে ছিল। আর ওই সময় গ্রেপ্তার যুবক চুরি করার উদ্দেশ্যে হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে খালেক নায়েবের ঘরে প্রবেশ করে। একইসময়ে খালেক নায়েবের স্ত্রী কুলসুম বেগম ওযু করার জন্য বাথরুমে যাচ্ছিলেন। তখন গ্রেপ্তার যুবক কুলসুম বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল জোরপূর্ক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আর এতে বাধা দিতে চাইলে কুলসুম বেগমের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। কুলসুম বেগমের চিৎকারে তার মেয়ে লিপি বেগম এগিয়ে আসলে ওই যুবক পালিয়ে যায়।


আহতের ছেলে কবির নায়েব জানান, ঘটনার পর মুমুর্ষ অবস্থায় তারা কুলসুম বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা পেটে থাকা ছুরি বের করা ঝূকিপূর্ণ মনে করে এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। যেখানে আসার পর কুলসুম বেগমের পেটের ছুরি বের করা হয়। তবে তিনি এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কবির নায়েব।


এদিকে হামলার ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান। তারা প্রতক্ষ্যদর্শীদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালিয়ে ৭২ ঘন্টার মধ্যে মঙ্গলবার তানজিল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ আলী নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছে মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই রিয়াজ।


তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিকে সুচতুর মোহাম্মদ আলী বিভিন্ন নাটকীয় মিথ্যা গল্প বানানোর চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে সে পুরো ঘটনা স্বীকার করে। 


আহতের মেয়ে লিপি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত যুবকই তাদের মায়ের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।


এদিকে হামলার ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলীকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।