কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার এলাকায় এঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার যুবকের নাম মোখলেছুর রহমান শান্ত। সে উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের বিদ্যুৎ মিস্ত্রী নুরু মিয়ার ছেলে। সোমবার রাতে শান্তর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উত্যক্তের শিকার হওয়া ছাত্রীর বাবা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোখলেছুর রহমান শান্ত (২০) একই গ্রামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। ছাত্রীটিকে দেখে সে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করত। বিষয়গুলো ছাত্রীটি তার অভিভাবকদের জানালে এ বিষয়ে একটি গ্রাম্য শালিস অনুষ্ঠিত হয়।
গত রোববার প্রাইভেট শেষে ছাত্রীটি তার বান্ধবীসহ বাড়ি ফিরছিল। এসময় ভূরুঙ্গামারী সরকারী কলেজ মোড় এলাকার পৌছলে শান্ত তার পথরোধ করে। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হতে বলে। এতে সে রাজি না হলে শান্ত তাকে জাপটে ধরে। তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দা মজনু মিয়া তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌছে দেয়।
সোমবার বিকেলে ছাত্রীর বাবা দেওয়ানের খামার এলাকার শান্তকে দেখতে পেয়ে জাপটে ধরার বিষয়ে জানতে চান। এসময় সেখানে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। শান্ত উল্টাপাল্টা কথা বললে উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়।
উত্যক্তের শিকার ছাত্রীর বাবা বলেন, শান্তর নিকট তার কর্মকান্ডের বিষয় জানতে চাওয়া হলে সে উল্টাপাল্টা কথা বলে। এতে সেখানে উপস্থিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। আমরা তাকে মারপিট করিনি।
শান্তর বাবা নুরু মিয়া বলেন, প্রেমের প্রস্তাবের বিষয়টি সত্য। একবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। প্রেম ঘটিত বিষয়ের কারণে মেয়ের পরিবারের লোকজন গতকাল আমার ছেলেকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। শান্তর অন্যায় করে থাকলে তার বিচার আইন করবে। তারা কেন আমার ছেলেকে মারবে?
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আটক যুবকের বাবা ছেলেকে মারপিটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।