
ভূরুঙ্গামারীতে ছিনতাইয়ের সাড়ে ৬ লাখ টাকাসহ মুলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১:২৫

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত মার্চ মাসে বিকাশের ছিনতাই হওয়া টাকার ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ছিনতাইয়ের মূল হোতা মোস্তফাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোস্তফা ছিনতাইয়ের ঘটনার দিন থেকেই আত্মগোপনে ছিল। সে সোনাহাট ইউনিয়নের গনাইরকুঠি গ্রামের হানিফ মন্ডলের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় কুড়িগ্রাম জিয়া বাজার এলাকা থেকে মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকা ও ছিনতাই করা টাকা তার হেফাজতে আছে বলে জানায়। তার তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত ভোররাতে তার বাড়ির টিনের ঘরের ছাদের উপর হতে ছিনতাইয়ের ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ো ছিনতাই হওয়া ১৫ লাখ টাকার মধ্য মোট ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।

গত ১৯ মার্চ বিকাশ কর্মী শুভ কুমার রায় ১৫ লাখ টাকা নিয়ে বিকাশ এজেন্টদের মধ্যে বিলি করার জন্য মোটরসাইকেলে করে ভূরুঙ্গামারী থেকে সোনাহাট ক্যাম্পের মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এসময় পথিমধ্যে ছিনতাইকারীরা পিছন থেকে তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে বিকাশকর্মীর চলন্ত মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে বিকাশকর্মী শুভ ও তার সাথে থাকা টিএমও বিদ্যুৎ চন্দ্র রাস্তায় পড়ে যান। সেই সুযোগে মোটরসাইকেলে থাকা ছিনতাইকারীরা বিকাশকর্মীর ব্যাগে থাকা ১৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভূরুঙ্গামারী ও কচাকাটা থানা পুলিশ ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ছনবান্ধা খলিসাকুড়ি গ্রাম থেকে প্রসেনজিত বর্মন, খাদিমুল ইসলাম লাল ও মোন্নাফ আলীকে গ্রেফতার করে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। গ্রেফতার হওয়ারা জানায় ছিনতাইয়ের মূল হোতা মোস্তফা। পরে পুলিশ মোস্তফা ও তদন্তে প্রাপ্ত অপর একজনসহ মোট ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটসাইকেলসহ অন্যান্য আলামত জব্দ ও ছিনতাইয়ে জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

