প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২২, ৩:৫৬
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল ও জোর পূর্বক বাঁশ কাটাসহ মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই চেয়ারম্যানসহ ২০ জনকে আসামী করে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নুরজাহান বেগম নামে এক নারী। এর আগে ওই দিন সকালে নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ি এলাকায় মারধর করে জমি দখলের চেষ্টা ও বাঁশ কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববতি টংভাঙ্গা এলাকার মৃত আফসার উদ্দিনের পূত্র জাহাঙ্গির আলমের জমি বর্গাচাষি হিসেবে চাষাবাদ ও দেখভাল করে আসছেন কেতকীবাড়ি এলাকার জাহিদুল ইসলাম। ওই জমি ও বাঁশঝাড় কিছুদিন ধরে নিজের বলে দাবি করে আসছেন নওদাবাস ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুল হকসহ তার কয়েক ভাই।
বুধবার সকালে ফজলুল হক ও তার ভাইয়েরা ওই বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কাটতে গেলে জাহিদুল ইসলাম বাঁধা দেয়। এ ঘটনার জের ধরেই ফজলুল হক ও তার ভাই ভাতিজাসহ তাদের পক্ষের লোকজন জাহিদুল ইসলামসহ তার স্ত্রী ও পূত্রের উপর হামলা চালায় ও মারধর করেন। এ সময় তারা প্রায় এক হাজার বাঁশ কেটে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জাহিদুল তার স্ত্রী নুরজাহান ও পূত্র নুর মোহাম্মদসহ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে বুধবার রাতে নওদাবাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হককে প্রধান আসামী করে ২০ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নওদাবাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হকের সাথে কথা হলে তিনি মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারও জমি দখল করতে নয়, নিজের বাঁশঝাড়ের বাঁশ নিজেই কেটেছি। এ সময় জাহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন অহেতুক বাঁধা দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, বিষয়টি জানা মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। নওদাবাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।