ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে, কারাগারে শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১লা জানুয়ারী ২০২২ ০৮:১৮ অপরাহ্ন
ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে, কারাগারে শিক্ষক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।


গ্রেপ্তার নুর উদ্দিন (২৯) ভাটিয়ারী হাজি তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ভিকটিম ভাটিয়ারী বিজয় সরণী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্রী।


শনিবার দুপুরে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এডিট করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে উপজেলার ভাটিয়ারী থেকে শুক্রবার দুপুরে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


ছাত্রীর বাবার বরাতে র‍্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নিয়াজ মোহাম্মদ চপল জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নুর। পরবর্তী সময়ে তাদের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতেন নুর। দিতেন নানা রকমের প্রস্তাব।


তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে মেয়েটি জানতে পারে নুর মাদক সেবন করেন ও বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। ছাত্রীটি তখন নুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রাখতে চায় না বলে তাকে জানিয়ে দেয়। এতে নুর ক্ষিপ্ত হয়ে সম্পর্ক না রাখলে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। কোথাও বিয়ে হতে দেবেন না এবং নিজেও বিয়ে করবেন না বলে জানান।


র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, কিছুদিন পর ছাত্রীটির বিয়ের প্রস্তাব এলে নুর এডিট করে আপত্তিকর ছবি ফেক আইডি থেকে আপলোড করেন। ছবির সঙ্গে নানা ধরনের আপত্তিকর কথা লেখেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় মেয়েটির বিয়ে ভেঙে যায়। ছাত্রীর বাবা র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দিলে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।


পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামির বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ছবি ও তথ্যের ফটোকপি জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সব স্বীকার করেছেন।


আটকের পর তাকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানে মেয়ের বাবার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় নুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।


সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলার পর শনিবার সকালে নুরকে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।