প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ২৩:১৯
মাদারীপুরে ২০১৬ সালে গোয়েন্দা পুলিশের দায়ের করা ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনের মামলায় একজনের ১২ বছর ও বাকি ৫ আসামী ৮ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এই দন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত সবার বাড়ি বরিশালের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে।
তারা হলেন, রহিম ফকিরের ছেলে রুবেল ফকির (২২), মৃত বারেক সরদারের ছেলে ইদ্রিস সরদার (৪২), দেলোয়ার গাজীর ছেলে সাদ্দাম গাজী (২৫), মোক্তার দালালের ছেলে কাবুল দালাল (২০), মৃত হাছেন বেপারীর ছেলে আমির বেপারী ওরফে কালা আমির (৪৫) ও রহমান ফকিরের ছেলে ওসমান ফকির (২২)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ০৮ জুন ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল দুবৃত্ত, এমন সংবাদের ভিক্তিতে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরে অভিযানে যান জেলার গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এ সময় দেশীয় পাইপগানসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে এই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিলের এসআই রাজীব হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে ৬ জনের নামে মামলা করেন।
পরে মামলা দায়েরের ২১দিনের মাথায় ৬জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই স্বপন কুমার পাল। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রুবেল ফকিরকে ১২ বছর ও বাকি ৫ আসামী ইদ্রিস সরদার, সাদ্দাম গাজী, কাবুল দালাল, আমির বেপারী, ওসমান ফকিরকে ৮ বছর করে কারাদন্ড দেন। আসামীদের মধ্যে রুবেল ও ওসমান গ্রেফতারের পর জামিনে পলাতক রয়েছে। বাকি ৪ জন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর জজ কোর্টের পিপি সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলায় দোষ প্রমাণ হওয়ায় একজনের ১২ বছর ও বাকি ৫ জনের ৮ বছর করে কারাদন্ড দেন বিজ্ঞ আদালত। রায় শেষে আদালতে হাজির হওয়া ইদ্রিস সরদার, সাদ্দাম গাজী, কাবুল দালাল, আমির বেপারীকে কারাগারে পাঠানো হয়।