কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলার ৯ বছর আজ। কিন্তু এ ঘটনার ৯ বছরেও সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় রয়েছেন রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ। মামলার চার্জশিট দাখিল নিয়ে তাদের রয়েছে চরম অসন্তোষ। বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাধারণ জনগণ বলছেন, এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত অনেক মানুষ মামলার আসামি নন। এক্ষেত্রে তদন্তে ব্যাপক অনিয়মের কথাও বলছেন তারা।
২০১২ সালের এই দিনে ধর্মীয় সম্প্রীতির এ লীলাভূমিতে ইতিহাসের বর্বর ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছিল। এ ঘটনার পর অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগে ইতোমধ্যে সেই চিড় ধরা ধর্মীয় সম্প্রীতি আবার জোড়া লেগেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর কক্সবাজারের চারটি উপজেলায় ১৮টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা করা হলেও তা পরে উঠিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশের দায়ের করা ১৮টি মামলা এখনও চলমান। চার্জশিট হলেও সাক্ষীদের অনীহার কারণে এখনও মামলাগুলো আলোর মুখ দেখছে না।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর ঘুমন্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ভাঙচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির। আগুনের লেলিহান শিকায় চাপা পড়ে যায় রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এ ঘটনায় বিশ্বের নানা স্থানে, নানা রাষ্ট্রে, এমনকি জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।