প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:৩১
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পন্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির দায়ে দালাল চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও মারধরের সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। পরে মুরগীবাহী পিকআপের (ঢাকা মেট্রো-ন-১৭-৬৪৭৭) চালক ব্রাক্ষণবাড়ীয়া নবীনগর থানার বিটঘর গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে মো. রুহুল আমিন ও নওগাঁ জেলার নওগাঁ থানার বর্ষাইল গ্রামের মৃত লোকমানের ছেলে মো. আলামীন হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ছিদ্দিক কাজীর পাড়ার মো. রহমান মন্ডলের ছেলে শুভ মন্ডল (২০), নাসির সরদার পাড়ার সালাম সরদারের ছেলে মো. জাহিদ সরদার (৩৫), সাত্তার মেম্বারের পাড়ার মোস্তফা সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম রনি (২০), গোয়ালন্দ পৌরসভা দেওয়ান পাড়ার আ. ছালাম মোল্লার ছেলে সাকিব মোল্লা (২০), মজিদ শেখের পাড়ার মৃত শুকুরআলী শেখের ছেলে জাকির হোসেন (৩০), বাহিরচর দৌলতদিয়া শাহাদৎ মেম্বার পাড়ার মৃত বারেক শেখের ছেলে নান্নু শেখ (৩৫) এবং হোসেন মন্ডলের পাড়ার আজগর প্রামানিকের ছেলে মো. সেলিম প্রামানিক (৩৪)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিকআপ চালক মো. রুহুল আমিন সোমবার (৬আগস্ট) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ট্রাকে মুরগী লোড করে সঙ্গীয় হেলপার মো. আলামিনসহ সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রাত সোয়া ২টার দিকে দৌলতদিয়া বরকত সরদার পাড়া সংলগ্ন বাংলাদেশ হ্যাচারীর সামনে মহাসড়কে সৃষ্ট যানজটে আটকা পড়েন। এসময় আটক আসামীরা ৬/৭ জন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে তার ট্রাকের সামনে এসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। তিনি চাঁদার টাকা দিতে আপত্তি করলে আসামীরা তাকে ও তার হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল ঘুষি মারিয়া এবং লাঠি সোটা দিয়ে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। এসময় তাদের ভয়ে ডাক চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে ৭জনকে আটক করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন তাদেরকে খুন করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আটক ৭জনকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটকে চাঁদাবাজ ও দালাল মুক্ত রাখতে পুলিশ সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।