মুমিনুলের ব্যাটে ৯১ রান, ঢাকার বিশাল সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ১১ই জানুয়ারী ২০২০ ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
মুমিনুলের ব্যাটে ৯১ রান, ঢাকার বিশাল সংগ্রহ

৩৫ রানে নেই ৩ উইকেট। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চোখে রীতিমত সর্ষে ফুল দেখছিল ঢাকা প্লাটুন। খুলনা টাইগার্সের বোলাররা যে শুরুতে একদম চেপে ধরেছিলেন তামিম-বিজয়দের। খুলনার শিবিরে তখন আনন্দের বন্যা। কে জানতো, সেই আনন্দকেই পরে বিষাদে পরিণত করবে এক জুটি!

দলের বড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়লেন মুমিনুল হক আর মেহেদী হাসান। না, উইকেটে টিকে থেকে নয়। বরং টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ব্যাটিংয়েই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন এই যুগল। তাদের ১৫৩ রানের বিধ্বংসী এক জুটিতে ভর করেই মিরপুরে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক লড়াইয়ে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ঢাকা প্লাটুন।

আগের দিনই খুলনার দুই ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ আর মুশফিকুর রহীম ১৬১ রানের জুটি গড়েছিলেন। যেটা ছিল এবারের বিপিএলে যে কোনো উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড। এবার আরেকটু হলে সেই জুটিকে ছাড়িয়েই যেতেন মেহেদী-মুমিনুল। সেটা হয়নি। তবে এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় সেরা জুটিটা এখন তাদের।

ঢাকার শুরুটা ছিল ধীরগতিতে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসে তামিম ইকবাল (১) যখন রবি ফ্রাইলিংকের শিকার হলেন ঢাকার তখন ১ রানে ১ উইকেট। এরপর দলীয় ১৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটও হারিয়ে বসে দলটি। এবার ফ্রাইলিংকের বলে সাজঘরে এনামুল হক বিজয় (১০)। চার নম্বরে নেমে চালিয়ে খেলছিলেন জাকের আলি। ৭ বলেই ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ রানে পৌঁছে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলামকে তুলে মারতে গিয়ে হন ফিরতি ক্যাচ।

পরের সময়টা শুধুই মুমিনুল আর মেহেদীর। চতুর্থ উইকেটে ১৩.২ ওভারে সাড়ে ১১ রানরেটে ১৫৩ রানের বিধ্বংসী এক জুটি গড়েছেন এই যুগল। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটা ভাঙে ১৯তম ওভারে মুমিনুল ফ্রাইলিংকের শিকার হলে। ধীরগতিতে শুরু করা মুমিনুল ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পরই আগ্রাসী রূপ নিয়েছেন। পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। হয়নি। ৫৯ বলে ৭ চার আর ৪ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি থামে ৯১ রানে। এটিই বিপিএলে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১৬ সালের বিপিএলে করা ৬৪ রানই ছিল এতদিন মুমিনুলের সেরা ইনিংস।

মুমিনুল ফেরার পরও তাণ্ডব চালিয়েই গেছেন ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেয়া মেহেদী হাসান। এবারের বিপিএলে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে সবাইকে চমকে দেয়া এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব