আগের তিন বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে করেছিলেন ৫৩৯ রান। এবার ৮ ম্যাচেই করে ফেলেছেন তারচেয়ে বেশি। অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপের ইতিহাসে ছাপিয়ে গেছেন বহু নামজাদা ব্যাটসম্যানদের। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, জাভেদ মিয়াঁদাদ, মাহেলা জয়াবর্ধনেরদের মতো তারকাদের টপকে সাকিব এখন বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা ১০ রান সংগ্রাহকদের একজন।
এতদিন বিশ্বকাপে রান সংগ্রহে দশে থাকা শ্রীলঙ্কান জয়াবর্ধনের রান ৪০ ম্যাচে ১১০০। সাকিব ২৯ ম্যাচেই তা টপকে জায়গা করে নিয়েছেন সেরা দশে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩১৬ রান তাড়ায় তিনে নেমে বরাবরের মতোই সাবলীল ব্যাট চালাচ্ছেন সাকিব। সেরা দশে ঢুকতে এদিন তার দরকার ছিল ১৯ রান। কেবল ২৩ বল খেলেই তা পেয়ে যান তিনি। দশে জায়গা করতে সাকিব আজ (৫ জুলাই) পেছনে ফেলেছেন ৩১ ম্যাচে ১০৮৫ করা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ৩৩ ম্যাচে ১০৮৩ রান করে জাভেদ মিয়াঁদাদকেও।
এবার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করাতেও রোহিত শর্মাকে (৫৪৪) ছাপিয়ে ফের এক নম্বরে উঠলেন সাকিব। বিশ্বকাপে এবার ব্যাট করতে নামলেই যেন ফিফটি একেবারে বাঁধা সাকিবের। কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিরেছিলেন ৪১ রানে। বাকি সব ম্যাচেই তুলেছেন ৫০-এর বেশি রান। টানা দুই ম্যাচে করেছেন সেঞ্চুরি।পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেও আছেন সে পথে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, সাকিবের রান ৭৬ বলে ৬৪। ৫৯১ রান করে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সবার উপরে ঝলমল করছে তার নাম।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান ভারতীয় কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের। ছয় বিশ্বকাপে ৪৫ ম্যাচ খেলে ২২৭৮ রান করে বিশ্বকাপে দুই হাজারের বেশি রান পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। দুইয়ে থাকা রিকি পন্টিং ৪৬ ম্যাচে করেছেন ১৭৪৩ রান। কুমার সাঙ্গাকারার আছে ৩৭ ম্যাচে ১৫৩২ রান। ব্রায়ান লারার রান ৩৪ ম্যাচে ১২২৫। ক্রিস গেইল ৩৫ ম্যাচে করেছেন ১১৮৬ রান। সনৎ জয়াসুরিয়া ৩৮ ম্যাচে করেছেন ১১৪৮ রান। ব্যাটসম্যান সাকিব জায়গা করে নিলেন এই তারকাদের পাশে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।