আগে কখনো এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে খেলতে গেলে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয় পুরো দলকে। তবে আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার পথে দলের ক্রিকেটাররা সাক্ষী হলেন সন্ত্রাসী হামলার। সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নুরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন স্থানীয় জনগণ। সেসময় দিনের অনুশীলন শেষ করে জুমার নামাজ আদায় করতে ঐ মসজিদেই যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
কিন্তু স্থানীয় এক নারীর কাছ থেকে হামলার কথা শুনতে পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে স্থান ত্যাগ করেন তামিম-মিরাজরা। প্রথম হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে এবং পরে নিরাপদে টিম হোটেলে চলে যান তারা। তবে ঘটনার আকস্মিকতায় ভীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল নিজের টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম টুইট করেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্! ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনা থেকে আল্লাহ্ আজ আমাদের বাঁচিয়ে দিলেন। আমরা অনেক বেশি ভাগ্যবান। কখনোই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাস তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘মাত্রই এক বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে না। ভয় কাজ করছে সর্বত্র।’ দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মারি ভিল্লাভারায়েন বলেন, ‘আমি ঘটনার পরপরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি তবে গুলির আওয়াজ শুনে হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। কোচিং স্টাফের সবাই টিম হোটেলেই ছিলেন। খেলোয়াড়রা গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন।’
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।