সেনাদের ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান সেনাপ্রধানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
সেনাদের ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান সেনাপ্রধানের

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনা সদস্যদের বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থেকে ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে দেশসেবার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সাভার সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য ফায়ারিং দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মৌলিক প্রশিক্ষণের অংশ এবং প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা সেনা সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  


অনুষ্ঠানে তিনি শ্রেষ্ঠ তিন ফায়ারারকে সেনাবাহিনীর শ্রেষ্ঠ ফায়ারিং পুরস্কার প্রদান করেন। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, আর রানার্সআপ হয়েছে সাত ব্রিগেড ডিভিশন। পুরস্কার বিতরণ শেষে সেনাপ্রধান নিজেও ফায়ারিংয়ে অংশ নেন এবং নির্দিষ্ট টার্গেটে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান।  


এছাড়া ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেনাপ্রধান সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে কাজ করা জরুরি। বাহিনীর সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সকলকে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে।  


এদিকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে কক্সবাজার বিমানঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এই হামলার পর সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।  


সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। তবে সেনাপ্রধানের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর সদস্যরা আরও ধৈর্যশীল ও সংযত আচরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  


বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবিক আচরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করা দরকার। সামরিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখাই বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।  


সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও কৌতূহল রয়েছে। বিশেষ করে ফায়ারিং প্রতিযোগিতার মতো কর্মসূচি সেনা সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাহিনীর মনোবল আরও উজ্জীবিত করে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।