প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২১, ২০:৫৫
‘সিনিয়র বা জুনিয়র নয়, দলে অবদান রাখতে হবে। এটাই শেষ কথা’- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেয়ার সময় এভাবেই প্রত্যয়ী কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার এই কথার প্রতিফলন দেখা গেছে পুরো সিরিজ জুড়েই।
অসিদের বিপক্ষে সিরিজটিতে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে সিনিয়র বলতে ছিলেন কেবল সাকিব আল হাসান। তবু টাইগাররা সিরিজটিতে জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। যেখানে সমান অবদান রেখেছেন দলের তরুণ ক্রিকেটাররাও।আফিফ হোসেন ধ্রুব ছাড়াও নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শামীম পাটোয়ারীরা প্রমাণ করেছেন নিজের সামর্থ্য। শুধু অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নয়। চলতি বছর প্রায় প্রতিটি সিরিজেই দলের প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছেন তরুণ ক্রিকেটাররা।
বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মতে, তরুণ খেলোয়াড়দের বয়স কম হলেও এরা অনেক বেশি পরিণত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের মতো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টুর্নামেন্ট খেলায় চাপ নিতে পারার ক্ষমতা রয়েছে এদের। তাই যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারে তারা।রোববার রাতে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে করা ফেসবুক লাইভে সাকিব বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ওদের বয়স কম হলেও ওরা অনেক বেশি পরিণত। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জানে অন্তত। কারণ বিপিএল খেলার ফলে এরই মধ্যে অনেক চাপ নিয়ে ওরা অভ্যস্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে চাপটা অনেক কম বলে আমি মনে করি যখন ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসে। ওরা যখন আসছে, ওরা জানে যে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা লাগতে পারে। ঐ জায়গা থেকে আমি বললাম যে, তারা সবাই পরিণত। যারা অনেক ভালো এ ধরণের পরিস্থিতি সামলে নিতে পারে।’
সাকিবের মতে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে তেমন একটা সমস্যা হবে না। তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ দলকে ভালোভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই বিশ্বাস বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের।তিনি বলেছেন, ‘কোন কিছুই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। একজন যাবে আরেকজন আসবে। সে হয়তো আরও ভালো করবে, এটাই নিয়ম। ক্রিকেট বা অন্য যেকোনো খেলাতে এরকমই হয়ে আসছে। দুই একজন ব্যতিক্রম থাকে, এ ছাড়া বাকিদের ক্ষেত্রে এমনই হতে থাকে।’
নতুনদের প্রতি নিজের আস্থা-বিশ্বাসের কথা জানিয়ে সাকিব বলেছেন,’আমার মনে হয়, এটা কখনও সমস্যা হবে না বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ভবিষ্যতে যারা আসবে তারা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।’‘নতুন যারাই আসছে তারা সবাই অনেক প্রতিভাবান। তাদের মধ্যে ভালো কিছু করার অনেক সম্ভাবনা আছে। আমি দুই একজনের নাম নিতে চাইনা কারণ যারাই জাতীয় দলে এসেছে তাদেরই এটা প্রাপ্য। তারা সবাই প্রতিভাবান, এ কারণেই তারা দলে এসেছে। তা না হলে তো তারা দলে আসতো না। সবারই সম্ভাবনা আছে।’