টার্গেট খুব বড় না হলেও নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছে বাংলার টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে।
কিছুক্ষণ পর তামিম সাজঘরে ফেরেন। সে ধারাবাহিকতায় আরও ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে সাকিবের ব্যাটে আশা যোগাচ্ছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ২১৫ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন শেষ ২৪ বলে ২৬ রান। ৮৪ রান নিয়ে সাকিব আল হাসান এবং ১৫ রান নিয়ে সাইফুদ্দিন ক্রিজে রয়েছেন।
এর আগে তামিম আউট হয়েছেন ৩৪ বলে ২০ রান করে। আর লিটন ৩৩ বলে ২১ ও মিঠুন ৩ বলে ২ রান করে আউট হন। সৈকত আউট হয়েছেন ৯ বলে মাত্র ৫ রান করে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা খুব একটা সুখকর হয়নি। শুরুতেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত মাঝারি সংগ্রহ গড়ে তারা।
সর্বোচ্চ ৫৬ রান এসেছে ওয়েসলি মাধেভেরে ব্যাট থেকে। এছাড়া অবদান রেখেছেন ব্রেন্ডন টেলর (৪৬), ডিয়ন মায়ার্স (৩৪), সিকান্দার রাজা (৩০) ও রেগিস চাকাভা (২৬)।
মুস্তাফিজুর রহমানের চোটে এই ম্যাচেও সুযোগ পাওয়া শরিফুল ইসলাম ৪ উইকেট নেন ৪৬ রানে। আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া সাকিব ২ উইকেট নেন ৪২ রানে। দারুণ বোলিংয়ে ৩৮ রানে তাসকিন আহমেদের শিকার একটি।
ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য এগিয়ে যাওয়ার, আর জিম্বাবুয়ের জন্য সিরিজে ফেরার। এই ম্যাচ জিতলে এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে শেষ সিরিজ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর ২০১১ ও ২০১৩ সালে হেরেছিল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারায় লাল-সবুজের দল।