ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা লুকানোর দায়ে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। ক্যারিয়ারে কঠিন এই সময়টাতে রোববার তারকা এই অলরাউন্ডারকে দুর্নীতি দমন কমিশনে দেখা গেল। দুদকের মুখপাত্র প্রনব কুমার ভট্টাচায্যের বরাত দিয়ে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে রোববার বেলা ১১টার দিকে দুদকের শুভেচ্ছা দূত সাকিব সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে যান। দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়োর প্রধান ফটক থেকে তারকা এ ক্রিকেটারকে স্বাগত জানিয়ে তিন তলায় দপ্তরে নিয়ে যান।
সাংবাদিকদের সামনে পড়লেও কোনো কথা বলেননি সাকিব। দুদকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সাকিবকে পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। পরে পাঁচতলায় দুদক চেয়ারম্যানের কক্ষে ৩০ মিনিটের মত অবস্থান করে বেরিয়ে যান বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই দুদকে গিয়েছিলেন সাকিব। প্রণব কুমার বলেন, “সাকিব সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। দুদকের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তিনি সময় পেলেই আসেন। বিশেষ কোনো বিষয়ে আসেননি। সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন”
উল্লেখ্য, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করায় গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে দোষ স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে। অপরাধ ও শাস্তি দুটোই মেনে নেওয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের। ফলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশের তারকা এই অলরাউন্ডার। ফলে ২০২০ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না সাকিব।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।