তুরিনকে অপসারণ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১১ই নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭ অপরাহ্ন
তুরিনকে অপসারণ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে

শৃঙ্খলা, পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরপাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে তুরিন আফরোজকে প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপত থেকে এই তথ্য জানা গেছে। আজ সোমবার থেকেই এই আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।এর আগে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। এরপর তাকে মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

যুদ্ধাপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের তিন বছরের মাথায় প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তুরিন আফরোজ। জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযমের মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মামলা পরিচালনায় ভূমিকা রাখেন তিনি।একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত বছরের ২৪ এপ্রিল গ্রেপ্তার পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে তুরিন আফরোজ গোপনে বৈঠক ও টেলিফোনে আলাপ করেছেন বলে অভিযোগ প্রসিকিউশনের। এখন কারাবন্দি ওয়াহিদুল হক জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থারও (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক।

একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে চালানো গণহত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তুরিন আফরোজ এ মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াহিদুল হককে ফোন করে কথা বলার পর পরিচয় গোপন করে ঢাকার একটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখা করেন বলে অভিযোগ উঠে।তাদের কথোপকথনের রেকর্ড ও বৈঠকের অডিওরেকর্ডসহ যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে ফেসবুক পোস্টে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও ওই গোপন বৈঠকের কথা অস্বীকার করেননি তুরিন।এর আগে পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৪ সালের আগস্টে প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকেও মামলা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।