সোনাগাজীতে শ্বশুরের ধর্ষণে প্রবাসীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা

ফেনীর সোনাগাজীতে এক প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার আপন চাচাশ্বশুর শফি উল্যাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকালে গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে মো. শফি উল্যাহকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত শফি উল্যাহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি এলাকার বাসিন্দা। মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয় গত ১৮ জুন বিকেলে নিজ ঘরে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। কিন্তু ঘটনাটি গত কয়েকদিন আগে জানাজনি হয়। ঘটনা জানাজানির পর থেকে অভিযুক্ত শফি উল্যাহ পলাতক রয়েছেন। গৃহবধূর পরিবার জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ও অভিযুক্ত শফি উল্যাহ একই বাড়ির বাসিন্দা।

গত দুই বছর আগে গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে চলে যান। শ্বশুর একটি দোকানে চাকরি করার ফলে অনেক রাতে বাড়িতে ফেরেন, আবার সকাল সকাল কর্মস্থলে চলে যান। ঘরে শুধুমাত্র অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে ওই গৃহবধূ থাকতেন। চাচাশ্বশুর শফি উল্যাহ প্রায় সময় তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করত। এমনকি টাকার লোভ দেখিয়ে ওই গৃবধূকে অনৈতিক কাজে প্রস্তাব দেয়।

গৃহবধু বিষয়টি তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও প্রবাসে স্বামীকে জানায়। তারা শফি উল্যাহকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফি উল্যাহ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। পরে গত ১৮ জুন দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমানোর সময় শফি উল্যাহ তাকে জোরপূবক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারপরও গৃহবধূ বিষয়টি তার শাশুড়িকে জানায়। গত কয়েকদিন আগে গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা বলে জানতে পারেন।

এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ভাবে সমাধানের লক্ষ্যে দুই দফা শালিশী বৈঠক করেও সমাধান না হওয়ায় থানায় মামলা হয়। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য শনিবার ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব