বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউওইচও) প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস। মহামারীর ছয় মাস পার হলেও এখনই কড়াকড়ি শিথিলের সময় আসেনি বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১০ দিনের ৯ দিনে বিশ্বজুড়ে ১ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান "গতকালকের শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ পাওয়া গেছে ১০টি দেশ থেকে। এই ১০টি দেশের বেশিরভাগই আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার। যদিও ইউরোপের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, তবে বিশ্বের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।"
ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস যেসব দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে অথবা উন্নতির দিকে তাদের মনে করিয়ে দেন আত্মতৃপ্তিতে ভোগা যাবে না। তিনি বলেন, এসব দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে আত্মতৃপ্তিতে ভোগা।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের জেরে চলা বিক্ষোভ থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গ্যাব্রিয়েসুস সব বিক্ষোভকারীকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি মেনে আন্দোলনে যাওয়ার আহ্বান জানান।
গত বছর ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথমবার শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস।আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে আজ ৯ই জুন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় শনাক্ত রোগী ৭২ লাখ ৩৬৪ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৪৪ জন। বিশ্বে মোট করোনা শনাক্ত ব্যক্তির ১০ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন।
ইতোমধ্যেই দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ বৈশ্বিক মহামারী। শুরুতে করোনা মহামারীর কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্ব এশিয়া, পরে ইউরোপ, এখন ছড়িয়েছে আমেরিকায়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ।
