প্রশাসনের তৎপরতায়ও থামছেনা জনসমাগম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩১শে মার্চ ২০২০ ০৮:২১ অপরাহ্ন
প্রশাসনের তৎপরতায়ও থামছেনা জনসমাগম

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা করে জনসচেতনতাসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে মাঠে কাজ করছে সেনা বাহিনী, র‌্যাব,পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন। তবে শহর এলাকায় বিধি নিষেধ মেনে চললেও উপেক্ষিত গ্রামা লের বাজারগুলো।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রবিবারে ধানখালীর নোমরহাঁটে বসেছে জমজমাট সাপ্তাহিক হাট। সোমবারে বিকেলে ধানখালীর কালুরহাটে দেখা গেছে জমজমাট সাপ্তাহিক হাট। মঙ্গলবার কলাপাড়ায় বসেছে জমজমাট সাপ্তাহিত হাট। মহিপুর বন্দরে প্রতি সন্ধ্যায় চলে জনসমাগম। ইট ভাটার মালিকরা তাদের ভাটার কার্যক্রম চালু রেখেছেন। প্রতিনিয়ত প্রায় শতাধিক শ্রমিক ভাটায় জড়ো হয়ে ট্রলার কিংবা ট্রলিতে ইট লোড-আনলোড করছে। একইভাবে বালু বিক্রির গদি গুলোতেও শতাধিক শ্রমিক দ্বারা বালুর জাহাজে লোড-আনলোড করা হচ্ছে। 

এছাড়া প্রতিদিন সকালে চৌরাস্তা মাছ বাজারে মহা মিলনমেলা ঘটে মানুষের। বিশেষ করে স্থানীয় এক শ্রেণির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রিত হাঁট-বাজারগুলো চালু থাকায় করোনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। এখনই সাধারন মানুষের জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসন আরো কার্যকরি পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের করোনা ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে কলাপাড়া উপজেলা।

কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির কোাষাধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন বিপু জানান, সরকার সবজি বাজার ও মাছ বাজার খোলা রাখতে বলেছে। তবে বার বার জনসমাগম এড়িয়ে কাজ করতে বলা হলেও সাধারন মানুষ সেটা মানছেন না। পৌর শহরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রেহান  উদ্দিন রেহান বলেন, আমাদের দোকান পাট বন্ধ রেখেছি। কিন্তু এখনও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোপনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আসলে তাদের মধ্যে সচেতনতার অনেক ঘাটতি। 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত মো.শহিদুল হক বলেন, জনসমাগম বন্ধে অভিযান  পরিচালনা করা হচ্ছে। ইটভাটার কাজ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। 

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব