
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০১৯, ২২:৮

রোহিঙ্গাদের জন্য আইন অনুসারে মোবাইল ফোন ব্যবহার অবৈধ হলেও তারা প্রশাসনের লোকদের সামনে প্রকাশ্যেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। রোহিঙ্গাদের আগমনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ২৫ আগস্ট হঠাৎ করে জমায়েত হয়ে জনসভা করে। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আশ্রয় গ্রহণের সময় টেকনাফের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কর্ণপাত করেন নাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয় শিবিরে ইতিপূর্বে মোবাইল ফোনে বেআইনি কর্মকাণ্ড ঘটছে মর্মে নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ওই চিঠিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা না পায়, সেজন্য অপারেটরগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠিও পাঠিয়েছিল। তবে এ পর্যন্ত তারা ওই চিঠির প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এছাড়াও বিভিন্ন অপারেটরের ফ্রিকোয়েন্সি সীমান্তের ওপারে বিস্তৃত হওয়ায় এদেশের সিম মোবাইল ফোনে ও ইন্টারনেটে ব্যবহার করছে মিয়ানমারের নাগরিকরা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব