
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০১৯, ৩:৫১

জামালপুর জেলা প্রশাসকের সাথে তার নিজ কার্যালয়ের অফিস সহায়ক (পিয়ন) সাধনার অনৈতিক কর্মকান্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিও সাজানো বলে দাবি করে বলেন, কি ভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা তিনি জানেন না। আমার বাঁচার কোন ইচ্ছা নাই। আমর একটি এতিম সন্তান রয়েছে তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি বেঁচে আছি। আপনারা আমার দিকে না তাকিয়ে, আমাকে এভাবে ধিক্কার না দিয়ে আমার এতিম সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে বাঁচার ব্যবস্থা করে দিন। সোমবার সকালে কর্মস্থলে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এমন আকুতি জানান বহুল আলোচিত নারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।
গত শুক্রবার সকাল থেকে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের অনৈতিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এই ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হয় জেলাজুড়ে। পরদিন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ ও প্রচারের পর জেলার গন্ডি পেরিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনার পর অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরকে ওএসডি করে পরিকল্পনা মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ এনামুল হককে জামালপুরের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিযোগ দেয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন আলোচিত অফিস সহায়ক (পিয়ন) সানজিদা ইয়াছিমিন সাধনা। সোমবার সকালে অফিসের এলে ক্ষুব্দ হয়ে উঠে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সকল কর্মচারীরা। তারা ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের যান এবং ওই নারী কর্মচারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কাজে যোগ দিলে তারা কাজ করবেন না বলে দাবি জানান। এসময় জেলা প্রশাসকের ওয়েটিং রুমে জনসাধারণের অপেক্ষমান কক্ষে জ্ঞাণ হারিয়ে মাটিতে লুটে পরে। পরে সহকর্মীদের সহায়তায় জ্ঞাণ ফিরে এলে ৩ দিনের ছুটি আবেদন করে অফিস ত্যাগ করেন সানজিদা। জেলা প্রশাসক আহমেদ করিবের অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও নিয়ে এখনও ব্যপক আলোচনা চলছে জেলা জুড়ে। জেলার সচেতন মহল তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিরও দাবি জানান।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব