ধর্মকে রাষ্ট্রের কেন্দ্রস্থলে রেখেও উন্নতি সম্ভব: শায়খ আহমাদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১৫ অপরাহ্ন
ধর্মকে রাষ্ট্রের কেন্দ্রস্থলে রেখেও উন্নতি সম্ভব: শায়খ আহমাদুল্লাহ

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েও কোনো দেশ উন্নতির শিখরে উঠতে পারে। মালয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ধর্মকে রাষ্ট্রের কেন্দ্রে রেখে দেশটি অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিগত ৫০ বছর ধরে কথিত প্রগতিশীল শক্তি দেশের সব সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং সবসময় ধর্মকে রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে।


আহমাদুল্লাহর মতে, এই প্রগতিশীল শক্তি প্রায়শই বলার চেষ্টা করে যে, উন্নতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ধর্ম। তবে মালয়েশিয়ার সংবিধানের ৩(১) ধারায় রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে উল্লেখ করা হয়েছে, একইসাথে অন্যান্য ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ভিত্তিতে মালয়েশিয়া ইসলামকে রাষ্ট্রের কেন্দ্রে রেখেও আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে গেছে। 


তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মালয়েশিয়া যদি রাষ্ট্রধর্মকে ধারণ করে উন্নতি করতে পারে, তবে বাংলাদেশে সমস্যা কোথায়?” আহমাদুল্লাহর এই মন্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে, যেখানে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে।


আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, শুধু মালয়েশিয়াই নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশ রাষ্ট্রধর্মকে স্বীকৃতি দিয়ে সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের উন্নতির উদাহরণ সবার সামনে স্পষ্ট, কিন্তু বাংলাদেশের প্রগতিশীলদের কাছে ধর্ম যেন প্রধান শত্রু। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যুগের পর যুগ ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা রাখার পরও আমাদের দেশে কী ধরনের উন্নতি হয়েছে? এটা সময়ের বড় প্রশ্ন।”


তার মতে, যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধকে রাষ্ট্রের অগ্রাধিকার দেওয়া হতো এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হতো, তবে তারা দেশের উন্নতির জন্য আরও বেশি অবদান রাখতো। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের মানুষের ভেতরে যদি এই অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়া যেত যে তারা এই দেশের মালিক, তবে দেশের অগ্রগতিতে তারা আরও উদ্যমী হতো।


শায়খ আহমাদুল্লাহর এই বক্তব্য দেশের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ধর্ম এবং উন্নয়নের সম্পর্ক নিয়ে তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।