ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির চার নেতা বহিস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৩শে মে ২০২৪ ১০:১৬ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির চার নেতা বহিস্কার

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির চার নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত হওয়া ওই চার নেতা হলেন পাথরডুবি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হযরত আলী, শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের হোসেন, পাইকেরছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম ও চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল হক।


আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক একেএম ফরিদুল হক শাহীন শিকদারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।


বৃহস্পতিবার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপি সভাপতি কাজী গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত পত্রে বহিষ্কারের বিষয়টি জানা গেছে। বহিষ্কার পত্রের অনুলিপি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ), জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।


দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়ায় গত ২০মে বলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বারেক সহ এসব নেতাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।


উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানাগেছে, বলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। অন্যরা কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি।


বলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেকের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পাথরডুবি ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি হযরত আলী বলেন, আমি এখনো চিঠি পাইনি।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী গোলাম মোস্তফা ইউনিয়ন বিএনপির পদধারী চার নেতার বহিষ্কারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাহক মারফত তাদের প্রত্যেকের নামে পৃথক পৃথক পত্র পাঠানো হয়েছে। বলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তার ভুল স্বীকার করে শোকজের জবাব দিয়েছেন। দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, বহিষ্কারের তালিকায় আরো কিছু নেতার যুক্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।


উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম ফরিদুল হক শাহীন শিকদার দলের সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে গত ১৫ মে তাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।