প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০২১, ২৩:২৪
মহামরী করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে সরকারি উদ্যোগে দেওয়া হচ্ছে প্রতিষেধক টিকা। এই টিকা নেওয়ার জন্য করতে হচ্ছে নিবন্ধন।কিন্তু নিবন্ধনের বিষয়টি সাধারন জনগণের নিকট অনেকটাই জটিল বিষয়।
এ বিষয়টি মাথায় রেখে গোয়ালন্দ পৌরসভা সহ উপজেলার চার ইউনিয়নে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল এ গিয়ে টিকার নিবন্ধন কাজ সহজতর করতে এগিয়ে এসেছে গোয়ালন্দের উৎপাদনমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তাফা মেটাল ইন্ডাঃ এর ব্যাপস্থপনা পরিচালক, উপজেলা আ'লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মোস্তফা মুন্সীর ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এ কার্যক্রম চলছে।
গত মঙ্গলবার (৩ আগষ্ঠ) সকাল হতে শুরু করে আগামী রবিবার (৮ আগষ্ট) পর্যন্ত প্রতিদিন এক এক ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সেচ্ছাসেবকদের সহযোগীতায় এ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে।
উদ্যোক্তারা বলেন, টিকা গ্রহণের জন্য শহরে বসবাসরত লোকজন সহজেই নিবন্ধন করতে পারলেও গ্রামাঞ্চলের মানুষ এখনও বুঝতেই পারছেন না কিভাবে করোনা প্রতিষেধক টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে হবে।
এ জন্য সর্ব সাধারণের সহায়তার জন্য চার ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে ও পৌরসভায় স্বাস্হ্যবিধি মেনে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোস্তফা মুন্সীর নিজ উদ্যোগে বিনামূল্যে মানুষকে নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। এ লক্ষ্যে তারা ব্যাপক প্রচার কার্যক্রমও চালাচ্ছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে দেবগ্রাম ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোস্তফা মুন্সী নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে গ্রামঞ্চালের লোকজন যেন সহজে নিবন্ধন করে টিকা কার্ড সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া করোনার এ দুঃসময়ে সাধারণ মানুষকে করোনার টিকা পেতে গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের উদ্যোমী সেচ্ছাসেবকরা নিবন্ধন কার্যক্রম করছে এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আমি এ সকল উদ্যোমী স্বেচ্ছাসেবকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উদ্বোধনী প্রথম দিনে দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম, ২য় দিনে ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন সহ স্থানীয় গন্যমান্যরা উপস্হিত থেকে এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।
এ কার্যক্রমকে সফল করার লক্ষ্যে মোট ৫ দিনে প্রতিদিন ৪০জন করে কাজ করবে গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকেরা।
এই প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. সেলিম মুন্সী বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা ১৩২২ জনের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে টিকার কার্ড প্রদান করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫দিনে অন্তত ১০ হাজার। আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি মোবাইল সঙ্গে নিয়ে আসলে আমরা যে কাউকেই নিবন্ধন করে দিচ্ছি।