কুয়েটে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
কুয়েটে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস

কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় কয়েকজনের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা যায়, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।  


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন এবং বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করেন। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।  


সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীদের একাংশ ১৮ জনকে দায়ী করে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।  


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে বিভিন্ন অনিয়ম ও সহিংসতা চলছিল। তারা নিরপেক্ষ একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।  


খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।  


শিক্ষার্থীদের একাংশ বলছে, তারা নিরাপদ ও রাজনীতি মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চায়। অন্যদিকে, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। উভয়পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে।  


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা অনেকে হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।  


এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছেন যাতে এ ধরনের সহিংসতা আর না ঘটে এবং শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়।