বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গোলাম রাব্বানীকে দেশে ফিরে এসে বিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার রাতে হাসনাত তার ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে কঠোর মন্তব্য করেন এবং রাব্বানীর দায়িত্বে থাকা সময়ের অপরাধ নিয়ে কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার পোস্টে বলেন, "রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে," এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণ-অভ্যুত্থান সফল হলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতাকর্মীদের এখনও বিচার করা হয়নি। তিনি দাবি করেন, "যদি ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হতো, তাহলে আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের উপর নির্যাতন চালাতো।"
এছাড়া হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার তাদের আচরণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আরও কঠোর হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে দেশ এবং জনগণের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।
গোলাম রাব্বানী হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টের নিচে মন্তব্য করে বলেন, "দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য তাদের বিচার করা জরুরি।" এর পর হাসনাত আব্দুল্লাহ রাব্বানীকে দেশে এসে বিচার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "দেশে এসে বিচার কর, হেডম থাকলে আসো।"
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং গোলাম রাব্বানীর পোস্ট ও মন্তব্যে হাজার হাজার রিঅ্যাক্ট এবং কমেন্ট পড়ে। উক্ত মন্তব্যগুলো তাদের অনুসারীদের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
আন্দোলনকারী নেতার এই কঠোর ভাষার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আগামী দিনে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের বিচার নিয়ে। হাসনাত আব্দুল্লাহ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে, তাদের শাস্তি দ্রুত কার্যকর করা হোক এবং কোনভাবেই তাদের কার্যক্রম যাতে দেরি না হয়, সেজন্য তৎপর হওয়া উচিত।
এ পরিস্থিতি দেশজুড়ে রাজনীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে জনগণের মাঝে আরও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা দেশের রাজনৈতিক গতিপথে নতুন প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।