হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ঝালকাঠিতে সর্বস্তরের জনগণের বিক্ষোভ

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা হাতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘তুমি কে, আমি কে—হাদি হাদি’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’, ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি ঘরে ঘরে’, ‘ইনসাফের কথা বলবো, আমরা সবাই হাদি হবো’ এবং ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’—এমন নানা স্লোগানে পুরো এলাকা মুখর করে তোলেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার মুখপাত্র সাকিবুল ইসলাম রায়হান। তিনি বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী এবং ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকার শহীদ শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “হাদি হত্যার বিচার না হলে জুলাই আর থাকবে না।”

সংগঠনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, হত্যাকাণ্ডের এতদিন পার হলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে না পারা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যেমন খুনিরা পার পেয়ে গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও তারা পালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। পরবর্তীতে তার মরদেহ দেশে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির নিকটে দাফন করা হয়।