তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে দোয়া মাহফিলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন তার স্ত্রী । সেই আয়োজনে পাশেই বসা ছিলেন প্রার্থী বাবুল।
গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে মেলান্দহের শ্যামপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দী এলাকায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওর্য়াড বিএনপি আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
এতে বক্তব্য রেখে ভোট চান প্রার্থীর স্ত্রী তুহিন আক্তার শিউলি। এসময় ৫ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের বক্তব্যে তাকে বলতে শোনা যায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তার পুত্র যে দ্বায়িত্ব মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের মানুষের উপর দিয়েছেন সেই দ্বায়িত্ব হচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে সংসদে পাঠানোর দ্বায়িত্ব। সেই ভালোবাসা থেকে এই দ্বায়িত্ব ভোটারদের পালন করার জন্য আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট দিতে হবে। মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে ১২ তারিখ ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে সন্মান করা হবে।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে। তার সাথে ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাশেদুজ্জামান অপু, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। আরও উপস্থিত ছিলেন দুই শতাধিক ভোটার।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা না গেলে হোয়াটসএ্যাপে বক্তব্য চেয়ে খুদে বার্তা দিয়ে রাখা হয়। তাতেও কোনো সারা পাওয়া যায়নি।
তবে মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু মোবাইল ফোনে বলেন- ‘সেখানে পাচঁ শতাধিক মানুষের সমাগম ছিলো। আর প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া হয়নি। শুধু মাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।’
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জিন্নাতুল আরা বলেন- এটি আচরণ বিধি লঙ্ঘন। আমরা বিষয়টি জেনেছি। যখন ঘটনা চলমান থাকে তখন আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমলে নেই৷ যখন ঘটনা ঘটে যায় তখন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যিনি নিয়োজিত আছেন তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আমরা তাকে জানিয়েছি বিষয়টি।