রায়গঞ্জে খতিব হত্যার রহস্য উদঘাটন, প্রেম–টাকা লেনদেনেই নৃশংস হত্যা

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চর ফরিদপুর গ্রামের মো. মাসুদ রানা (৩৮), মো. ফরিদুল ইসলাম (৪২), প্রবাসী মতিউর রহমান মতির স্ত্রী মোছা. শাহিনুর খাতুন (৪০) এবং নিহতের ভগ্নিপতি দোস্তপাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম (৪০)। নিহত খতিব উপজেলার চর ফরিদপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের সন্তান।

ডিবি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হক রতন জানান, খতিব ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন। তিনদিন পর ১২ নভেম্বর সকালে ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পায়ে ইট বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

১৭ নভেম্বর বিকেলে নিজ চায়ের স্টল থেকে ফরিদুল ও মাসুদকে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজ বাড়ি থেকে শাহীনুরকে এবং সন্ধ্যা ৭টায় চর ফরিদপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে রফিকুলকে আটক করা হয়।

জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, শাহীনুরের সাথে খতিবের দুই বছরের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ সময় শাহীনুর তাকে ২ লাখ টাকা দেন। টাকা ফেরত চাইলে খতিব অস্বীকৃতি জানান। সম্পর্কের অবনতির মাঝেই খতিবের ছোট ভগ্নিপতি রফিকুলের সঙ্গে শাহীনুরের নতুন পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খতিবকে ‘সমস্যা’ মনে করে দু’জনে তার হত্যার পরিকল্পনা করে। এজন্য শাহীনুর দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি মাসুদ ও ফরিদুলকে ভাড়া করেন।

ঘটনার দিন শাহীনুর নিজেই খতিবকে ফুলজোড় নদীর ঘাটে ডেকে আনেন। ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় পান করালে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করে হাত-পায়ে ইট বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।