রাজবাড়ীর সদর খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিগ্রির চর চাঁদপুর এলাকা থেকে তোফাজ্জল হোসেন (৪৭) নামে একজন কলা চাষীর নিকট হতে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষক রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ফকিরডাঙ্গা ডিগ্রিরচর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর ফকিরের ছেলে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক দুইজনের নাম সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে রাজবাড়ী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ডিগ্রিরচর চাঁদপুর গ্রামের খন্দকার আব্দুল রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান মোস্তাক (৪৯), একই গ্রামের মান্নান কাজীর ছেলে সামাদ কাজী (৫১)সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ভুক্তভোগী কৃষক ফরিদপুর ঝিলটুলী টাওয়ার এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম নামের তার এক নিকটতম আত্মীয় কাছ থেকে কলা বাগান করার জন্য এক লক্ষ টাকা ধার করে বাড়ির উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে রওনা দেন। দুপুর ১২ টার দিকে ভুক্তভোগী তার নিজ এলাকার বাইতুন-নুর-জামে মসজিদের সামনে আসলে বিবাদীরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং বিবাদীদের সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন ভুক্তভোগীর কাছে আরোও ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিবাদীরা তার মাথায় ও বুকে ছুরি ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিলে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি আমার ১০ বিঘা জমিতে কলা বাগান করে সংসার চালায়। কলা বাগান বৃদ্ধি করার জন্য আত্মীয়ের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ধার করে বাড়ি ফিরছিলাম। ফেরার পথে সাইদুর রহমান ও সামাদ কাজী আমার কাছ থেকে টাকাগুলো জোর করে নিয়ে যায়। বিবাদীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এজন্য জীবন বাঁচাতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মাহমুদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।